ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকদের আশা জাগাচ্ছে ভাসমান বীজতলা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চারদফা বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে নীলফামারীতে আমনের বীজতলা কয়েকবার নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগ ভাসমান বীজতলা তৈরি করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

সেই বীজতলাই এখন আশা জাগাচ্ছে কৃষকের মনে।

কৃষি বিভাগ জানায়, এবারের বন্যার স্থায়ীত্ব কম হওয়ায় বীজতলাগুলোর তেমন ক্ষতি না হলেও জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় ১৬ দশমিক ৫ হেক্টর আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ক্ষতি পোষাতে তিন একর কমিউনিটি বীজতলা এবং ১০০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। প্রচলিত নিয়মে জমিতে বীজতলা তৈরিতে চাষ এবং অন্য প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ সময় লাগে। ভাসমান বীজতলায় সে সময় লাগে না।

কৃষকরা জানান, জমিতে বীজতলা করে অনেক সময় অতিবৃষ্টি এবং বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়। ভাসমান বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই। ফলে এই বীজতলা থাকে নিরাপদ।

নীলফামারী কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, এবারের জেলায় কয়েক দফা বন্যায় জেলার বেশকিছু এলাকার আমন ক্ষেত ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় প্রায় ৬০৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে ডিমলা উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর আমনক্ষেত ও ১৫ হেক্টার বীজতলা ও জলঢাকা উপজেলায় ৮৫ হেক্টর আমনক্ষেত ও ১৫ হেক্টর বীজতলা পানিতে ডুবে যায়।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি ও সংকট মোকাবিলায় এবারে প্রথম জেলায় ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ পদ্ধতিতে পড়ে থাকা ডোবা, পুকুর ও জলাশয়ের পানিতে ভাসমান বীজতলা তৈরি করা গেলে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাজেদুল ইসলাম বলেন, বীজতলায় এক কেজি অংকুরিত বীজ ছিটানো হয়েছে। তাতে যে চারা জন্মেছে, তা এক বিঘা জমিতে রোপণ করা সম্ভব। পানির ওপর ভাসমান থাকার কারণে এ রূপ বীজতলায় পানি সেচের দরকার হয় না। এসব বীজতলার চারা কৃষি প্রণোদণা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কৃষকদের আশা জাগাচ্ছে ভাসমান বীজতলা

আপডেট টাইম : ০৭:০৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চারদফা বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে নীলফামারীতে আমনের বীজতলা কয়েকবার নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগ ভাসমান বীজতলা তৈরি করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

সেই বীজতলাই এখন আশা জাগাচ্ছে কৃষকের মনে।

কৃষি বিভাগ জানায়, এবারের বন্যার স্থায়ীত্ব কম হওয়ায় বীজতলাগুলোর তেমন ক্ষতি না হলেও জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় ১৬ দশমিক ৫ হেক্টর আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ক্ষতি পোষাতে তিন একর কমিউনিটি বীজতলা এবং ১০০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। প্রচলিত নিয়মে জমিতে বীজতলা তৈরিতে চাষ এবং অন্য প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ সময় লাগে। ভাসমান বীজতলায় সে সময় লাগে না।

কৃষকরা জানান, জমিতে বীজতলা করে অনেক সময় অতিবৃষ্টি এবং বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়। ভাসমান বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই। ফলে এই বীজতলা থাকে নিরাপদ।

নীলফামারী কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, এবারের জেলায় কয়েক দফা বন্যায় জেলার বেশকিছু এলাকার আমন ক্ষেত ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় প্রায় ৬০৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে ডিমলা উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর আমনক্ষেত ও ১৫ হেক্টার বীজতলা ও জলঢাকা উপজেলায় ৮৫ হেক্টর আমনক্ষেত ও ১৫ হেক্টর বীজতলা পানিতে ডুবে যায়।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি ও সংকট মোকাবিলায় এবারে প্রথম জেলায় ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ পদ্ধতিতে পড়ে থাকা ডোবা, পুকুর ও জলাশয়ের পানিতে ভাসমান বীজতলা তৈরি করা গেলে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাজেদুল ইসলাম বলেন, বীজতলায় এক কেজি অংকুরিত বীজ ছিটানো হয়েছে। তাতে যে চারা জন্মেছে, তা এক বিঘা জমিতে রোপণ করা সম্ভব। পানির ওপর ভাসমান থাকার কারণে এ রূপ বীজতলায় পানি সেচের দরকার হয় না। এসব বীজতলার চারা কৃষি প্রণোদণা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ চলছে।